খুলনা, বাংলাদেশ | ১৭ আষাঢ়, ১৪৩১ | ১ জুলাই, ২০২৪

Breaking News

  জুনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫৪ কোটি ডলার
  পদ্মা সেতু পরিচালনায় কোম্পানি হচ্ছে
  সিলেটে ফের বিপৎসীমার ওপরে ৩ নদীর পানি

লোহাগড়ায় মধুমতী নদীর তীব্র ভাঙ্গনে নিঃস্ব শতাধিক পরিবার

লোহাগড়া প্রতিনিধি

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে মধুমতী নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ী, শতশত বিঘা আবাদী জমি, গাছপালা, এমনকি বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইনের খুঁটি। ভাঙনের মুখে পড়ে বাড়িঘর অনত্র সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের কয়েকশ’ পরিবার। শনিবার (২৯ জুন) সরেজমিনে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ভাঙ্গনের ভয়াবহতা।

স্থানীয়রা জানান, একাধিকবার মধুমতি নদীর ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন এখানকার মানুষ। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড শিয়রবর গ্রামে ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেললেও তা এবারের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।

রামকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম, আলাউদ্দিন,বালাম, চুন্নুমিয়া,আফজাল মোল্লা, হুমায়ুন কবির, আরফিন মোল্লা, ওসমান মুন্সী জানান, ‘মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে তাদের বসতবাড়ি বার বার নদীগর্ভে চলে গেছে। এসব মানুষেরা নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। যেভাবে নদী ভাঙ্গছে তাতে করে বসতভিটা কখন নদীর পেটে চলে যায়, তার ঠিক নেই। এবার বাড়ি ভাঙ্গলে মাথাগোঁজার ঠাঁই থাকবে না তাদের’।

রামকান্তপুর গ্রামের তোতা মিয়া জানান, ‘তাদের ৫ বিঘা জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এ পর্যন্ত তিন বার ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন তিনি। এবারও ভাঙ্গনের মুখে রয়েছেন ‘।

বৃদ্ধ আরফিন মোল্যা জানান, বসতভিটা ছাড়াও তাদের আবাদি জমি, সুপারী বাগান, পুকুরসহ ভাঙ্গনে ৫ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করছেন তিনি। সেটিও ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে। এরপর স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোথায় থাকবেন সে ঠিকানাও নেই তাদের-এ কথা বলতেই কেঁদে ফেলেন এই বৃদ্ধ’।

বালাম মোল্লার স্ত্রী তহমিনা বেগম জানান, ইতোপূর্বে ২ বার তাদের বসত ভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. লাবু মিয়া জানান, মধুমতী নদীর ভাঙ্গনে বসতবাড়ি, আবাদি জমি, মাদ্রাসা, মসজিদ ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে নদী গর্ভে পুরো এলাকা বিলীন হয়ে যাবে। তিনি মধুমতী নদীর ভাঙ্গন রোধে জাতীয় সংসদের হুইপ নড়াইল -২ আসনের সাংসদ মাশরাফী বিন মুর্তজাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষেয়ে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘লোহাগড়া উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের ভাঙ্গনরোধে আপাতত কোন বরাদ্ধ নেই, এ কারণে কোনো ধরণের কাজ করতে পারছি না’। তবে বরাদ্ধ পেলে আগামীতে ওই এলাকায় ভাঙ্গন রোধে কাজ করা হবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!